মো. মিজানুর রহমান , ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা , ভূমি মন্ত্রণালয়

১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ . বিকাল ৪:৩৯

মো. মিজানুর রহমান , ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা , ভূমি মন্ত্রণালয়

জমির দলিল পড়ার কৌশল !

 

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আমাদের সবার ঘরে কমবেশি জমির দলিল রয়েছে হাতের কাছে জমির দলিল থাকা সত্ত্বেও আমরা বুঝতে পারি না যে দলিলের কোন জায়গায় কি লেখা থাকে দাতাগ্রহীতা কতজন জমির পরিমাণ কত এবং ক্রয়কৃত জমির মূল্য কত তো বন্ধুরা দলিল বিষয়ে আপনি যদি অ্যাডভান্স কিছু হতে চান তাহলে অবশ্যই ভিডিওটি আপনারা মনোযোগ সহকারে দেখবেন এই ভিডিওটি দেখলে পরবর্তীতে আপনি নিজেই জমির দলিল পড়ে বুঝতে পারবেন যে দলিলে কোন জায়গায় কি লেখা থাকে তো বন্ধুরা আপনারা স্ক্রিনে খেয়াল করুন আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে আমি একটি দলিলের প্রথম পাতা নিয়েছি তো বন্ধুরা দলিলের প্রথম পাতার উপরে ডান পাশে তো আমি আপনাদের মার্ক করে দেখাচ্ছি তো আপনারা এখানে খেয়াল করুন এটা একটি নাম্বার তো দলিলের প্রথম পাতার উপরে ডান পাশে যে নাম্বারটি থাকবে সেটা হলো দলিলের নাম্বার তো এটা প্রত্যেকটি দলিল থাকে তো দলিলের বাম পাশে আরেকটি নাম্বার থাকে আপনারা এখানে খেয়াল করুন এটা হলো দলিলের সিরিয়াল নাম্বার তো বন্ধুরা এই মাঝখানে যে এক লেখা আপনারা দেখতে পারতেছেন এটা হলো দলিলের পৃষ্ঠা নাম্বার এটা সব দলিলেই থাকবে তা নয় এটা থাকতেও পারে

কোন দলিল আবার নাও থাকতে পারে  তো বন্ধুরা আমরা এখন স্ক্রল করে নিচে আসতেছি এখানে আপনারা দেখতে পারতেছেন যে গ্রহীতা তো গ্রহীতা যদি একাধিক থাকে তাহলে গ্রহীতার নামের সাথে একাধিক ব্যক্তির নাম থাকবে আর যদি গ্রহীতা একজন হয় অর্থাৎ দলিলটি যদি একক মালিকানাধীন হয় তাহলে একজন ব্যক্তির নাম থাকবে তো আমি আপনাদের দেখাচ্ছি এটি হলো একক মালিকানাধীন একটি দলিল অর্থাৎ এই দলিলে গ্রহীতা একজন তো বন্ধুরা এখানে আপনারা পড়লেই বুঝতে পারবেন যে গ্রহীতার নামের পরে রয়েছে পিতার নাম নাম এই দলিলটি হলো একক মালিকানাধীন তো এখানে একজন ব্যক্তি গ্রহীতা আর এই ব্যক্তির পিতার নাম রয়েছে পিতার নামের পরে দেখতেই পারতেছেন যে ধর্ম ইসলাম পেশা কৃষি আর মওজা হলো মির্জাপুর জেলা জামালপুর তো এগুলো আপনারা দেখে নিবেন দলিলটি দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন তো বন্ধুরা এই যে গ্রহীতার বাম পাশে আপনারা আরেকটি লেখা দেখবেন যেটাকে বলা হয় দলিলের সারাংশ বা সারমর্ম তো বন্ধুরা এই এখানেই দলিলের মূল কথাটি লেখা থাকে যে দলিলটি কত টাকা অর্থাৎ জমিটি ক্রয়মূল্য কত দলিলটি বা জমিটি কোন মৌজায় অবস্থিত এই দলিলের জমির পরিমাণ কত এবং খাজনার পরিমাণ কত দলিলটি কোন উপজেলায় অবস্থিত এগুলো আপনারা এই জায়গায় পড়ে বুঝতে পারবেন তো বন্ধুরা এখন মূল

বিষয়গুলোর ভিতরে আরেকটি বিষয় দেখব যে এই যে এখানে যে সাব রেজিস্টার এবং একটি দিন তারিখ অর্থাৎ দলিলটি কত সালে কোন তারিখে কোন মাসে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে আমরা সবাই জানি যে বর্তমানে রেজিস্ট্রি অর্থাৎ সাব রেজিস্ট্রি অভিষেকে যদি রেজিস্ট্রিকরণ করা না হয় তাহলে সেই দলিলের কোন মূল্য নেই বা ভ্যালু নেই আদালতে বা আইনের কোন আপনি প্রতিকার পাবেন না তো বন্ধুরা এখানে আপনারা দেখতেই পারতেছেন 4/10 1994 এখানে যদিও একটু ঝাপসা ঝাপসা আপনারা যখন আপনাদের দলিলগুলো দেখবেন তখন আপনারা ক্লিয়ার ভাবে দেখতে পারবেন আর এই পাশে দেখতেছেন যে

আঙ্গুলের ছাপ অর্থাৎ এই দলিলে যিনি দাতা অর্থাৎ যে ব্যক্তি জমিটি বিক্রি করলেন তার আঙ্গুলের ছাপ থাকবে এবং আঙ্গুলের ছাপের সাথে ওই ব্যক্তির নাম থাকবে এখানে আপনারা দেখতে পারতেছেন যে ভট্টুখা তো আমরা যদি দাতা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত দেখি এখানে আপনারা দেখতেই পারতেছেন যে দাতা দাতা মোহাম্মদ ভট্টুখা দাতার পিতার নাম হলো তমেজ খা এখানে আপনারা এই যে তমেজ খা এবং ভট্টুখা এদের পেশা এবং এদের এরা যে জেলায় অবস্থিত সেগুলো আপনারা দেখতে পারবেন তো এই পাশে আরো আপনারা বিস্তারিত এগুলো পড়ে নিবেন আমি যদি এগুলো পড়ে আপনাদের বলতে

চাই তো বন্ধুরা ভিডিওটি অনেক লম্বা হয় আমরা সবাই জানি যে youtube এর লম্বা ভিডিও কেউ দেখতে চাই না তো এগুলো যে বিষয়ে যদি এখানে দেখেন ৳25000 এখানেও কিন্তু এই যে 25000 এখানে কিন্তু লেখাই রয়েছে মূল বিষয়গুলো এগুলো এই যে এইটা এইটা এইটা এবং এই যে দাতা এবং আঙ্গুলের ছাপ এই প্রথম পাতা এগুলো হলো মূল বিষয় তো বন্ধুরা এখন আমি আপনাদের দেখাবো দ্বিতীয় পাতা তো আপনারা দ্বিতীয় পাতা দেখতে পারতেছেন এই যে দ্বিতীয় পাতার এখানে কিন্তু দুই লেখা রয়েছে প্রথম পাতায় আমরা দেখেছিলাম যে 4/10 1994 একটু ঝাপসা ঝাপসা প্রথম পাতার দ্বিতীয় পৃষ্ঠাটা এখানেও কিন্তু লেখা রয়েছে যে 4/10 1994 তারিখে দলিলটি সাব কবলা অফিসে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে তো বন্ধুরা এখানে দেখতে পারতেছেন যে ভট্টুখা তো এখানে এই যে ভট্টুখার যে আঙ্গুলের ছাপ রয়েছে এই ছাপটি এখানে দেখতে পারবেন এবং আঙ্গুলের ছাপের পাশেই আপনারা দেখতে পারবেন যে একটি নাম্বার এটা হলো এই আঙ্গুলের ছাপের নাম্বার এই নাম্বারটি রেজিস্ট্রি অফিসে বলা হইতেও লেখা রয়েছে এখন আমরা দেখব দ্বিতীয় পাতা দ্বিতীয় পাতাতে দেখেন এই যে ভোটকার অর্থাৎ দাতার বৃদ্ধাঙ্গুলের ছাপ এবং নাম এগুলো আপনারা পড়ে নিবেন যে এগুলো আপনারা পড়লেই বুঝতে পারবেন তো এখন আমি আপনাদের দেখাবো তৃতীয় পাতা এই যে এটা হলো দ্বিতীয় পাতার দ্বিতীয় পৃষ্ঠা তো এখন আপনারা ক্লিয়ারি ভাবে বুঝতেই পারলেন যে 4/10 1994 সালে দলিলটি সাব কবলা মূলে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে তো বন্ধুরা এটা হলো দলিলের তিন নাম্বার পাতা এই তিন নাম্বার পাতাতেও দাঁতার আঙ্গুলের ছাপ পাবেন তো এখানে আপনারা এগুলো দেখে নিবেন তারপর আমি আপনাদের দেখাচ্ছি যে দলিলের চার নাম্বার পাতা তো চার নাম্বার পাতাতে আপনারা খেয়াল করুন এটা হলো দলিলের চার নাম্বার পাতা তো চার নাম্বার পাতাতেও এখানে আপনারা দেখতে পারতেছেন যে দাতার আঙ্গুলের ছাপ এটা হলো তফসিল তো তফসিল গুলো আপনারা পড়ে নিবেন মৌজা মির্জাপুর 93 নং তহসিল দুই নং এগুলো আপনারা পড়ে নিবেন পড়লে আপনারা বুঝতে পারবেন যে এগুলো কি কাজ তো বন্ধুরা আপনারা দেখতেই পারতেছেন এটা হলো দলিলের পাঁচ নাম্বার পাতা এই পাঁচ নাম্বার পাতাতে হলফনামা লেখা হয়েছে এই হলফনামাটি 30 টাকার একটি স্ট্যাম্পে লেখা হয়েছে বর্তমানে আপনি যদি দলিল করতে চান তাহলে আপনাকে 200 টাকার স্ট্যাম্পে হলফনামা করে দলিল সম্পাদন বা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে তো বন্ধুরা এই হলফার নিচে আপনারা দেখতেই পারতেছেন যে আঙ্গুলের ছাপ এবং এই যে ভুট্টুখা অর্থাৎ দাতার নামটি এখানেও রয়েছে তো বন্ধুরা এই যে পৃষ্ঠা এটা হলো দলিলের চার নাম্বার পাতার দ্বিতীয় পৃষ্ঠা অর্থাৎ পরের পৃষ্ঠা এখানে আপনারা দেখতেই পারতেছেন তো বন্ধুরা লাস্ট পৃষ্ঠাতে আপনারা খেয়াল করুন এখানেও কিন্তু দাতার নাম রয়েছে এবং দলিলটি যেদিন রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ রয়েছে সেই দিনের তারিখ রয়েছে এই সিলগুলো আপনারা দেখতেই পারতেছেন এগুলো কিন্তু সাব রেজিস্টার অফিসিয়াল সিল আশা করি যে ভিডিওটি দেখে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে দলিলের কোন জায়গায় কি লেখা থাকে দলিলের সারাংশ বা সারভম কাকে বলা হয় তো বন্ধুরা আমি যে দলিলটি আপনাদের দেখালাম এটি হলো একটি হাতে লিখিত দলিল বর্তমানে যে দলিলগুলো হয়ে থাকে সেটি হলো কম্পিউটার প্রিন্ট করা দলিল তো বন্ধুরা বর্তমানে যে দলিলগুলো এগুলো বোঝা বা পড়া অনেক সহজ এতে পুরাতন দলিলগুলো যদি আপনি বুঝতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কোন দলিল লেখকের কাছে বা যারা দলিল বুঝে তাদের কাছে গিয়ে জানতে হবে বুঝতে হবে তো আমার ভিডিওটি যদি যদি দেখেন তাহলে তাদের কাছে আপনাকে দৌড় ঝাপ পারতে হবে না ভিডিওটি অবশ্যই আপনারা মনোযোগ সহকারে দেখবেন এই যে দলিল পড়ার কৌশল বা দলিল বোঝার কৌশল এই নিয়ে আমার ধারাবাহিক পর্ব থাকবে তো পাকিস্তান আমলে দলিলগুলো কি এরকম ছিল বা ব্রিটিশ আমলে দলিলগুলো কিরকম ছিল সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা বিস্তারিত দেখব অন্য কোন ভিডিওতে তো আজকের মত এখানেই শেষ করছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আবারও দেখা হবে নতুন কোন ভিডিও নিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ

 

Facebook
X
WhatsApp
Telegram
Email
Print

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ভূমি শিক্ষা কেন্দ্র হলো একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান, যেখানে নাগরিকদের জমি সংক্রান্ত আইন, রেকর্ড, নামজারি ও খতিয়ান বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এটি ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

ক্যাটেগরি

গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক

Copyright © 2025 ভূমি শিক্ষা কেন্দ্র